কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে লেবুগাছ কেটে ফেলাকে কেন্দ্র করে আপন চাচাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম মো. কবির হোসেন। তিনি ওই এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর অভিযুক্ত সুমন হোসেন (১৮) একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। তাঁরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আহত কবির হোসেনের স্ত্রী আর্জিনা খাতুন বাড়ির আঙিনায় একটি লেবুগাছ লাগিয়েছিলেন। সেই লেবুগাছ গতকাল শনিবার দুপুরে ঘাঁস কাটতে গিয়ে কেটে ফেলেন তাঁর ভাই রবিউল। এনিয়ে রাতে রবিউলের স্ত্রীর সঙ্গে আর্জিনা খাতুনের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে কবির হোসেন গাছের ডাল দিয়ে মারতে যান তাঁর ভাবিকে।
এসময় ভাতিজা সুমন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে চাচা কবিরকে বুকে-পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এবিষয়ের কবিরের স্ত্রী মোছা. আর্জিনা খাতুন জানান, লেবুগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ভাতিজা সুমন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।
তিনি সুষ্ঠ বিচারের আশায় থানায় মামলা করবেন। অভিযুক্তত সুমনের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ধারালো অস্ত্র নয়, মারামারির সময় কে যেন একটি হাতুড় দিয়ে তাঁর ভাইকে মেরেছে। তিনি ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার বিপাশা বৈশাখী জানান, ভিকটিমের বুকে ও পিঠের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থা আশঙ্খাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
যদুবয়রা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ( এস আই) মো. আজাদ খাঁন জানান, লেবুগাছ ও ঘাঁস কাটাকে কেন্দ্র করে ভাতিজার আঘাতে চাচা গুরুতর জখম হয়েছেন। ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
