কুমারখালীতে  বোরো ধানের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীতে  বোরো ধানের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মে ১৭, ২০২৪

মোশারফ হোসেন ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামের কৃষকেরা চলতি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে।  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমারখালী উপজেলায় চলতি বছর ৫  হাজার ৫ শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা  ৮ শ’ ১০ হেক্টর এর মধ্যে । বোরো আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি এবার উপজেলাতে । এবার উপজেলাতে ৪ হাজার ৩ শ’ ৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। হাইব্রিড জাতের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে , ২ শ’  ১০ হেক্টর জমিতে। নন্দুলালপুর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক ওবায়দুল হক বলেন, কৃষকেরা বছরের খোরাক নিশ্চিত করতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বোরো ধানের আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তবে পরিবারের সদস্যরা অন্য কাজের পাশাপাশি ধান চাষে সহযোগিতা করলে নিশ্চিত লাভবান হওয়া যায়। এই উপজেলায় একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ধান কেটে মাড়াই কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন। চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকরা রোদ মাথায় নিয়ে হাল চাষ দিয়ে বোরো ধান আবাদ করেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সর্বত্রই বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কৃষক রাসেল বলেন, এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। ফলন বৃদ্ধিতে শুরু থেকেই কৃষি কর্মকর্তারা তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শসহ সহযোগিতা করেন। এ পর্যন্ত আগাম ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। নন্দুলালপুর গ্?ামের কৃষক আবুতালেব জানান, এ মৌসুমে তিনি ১০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদ করেন। তবে এ মৌসুমে সার, বীজ, কীটনাশক ও ডিজেলসহ সবকিছুই বেশি দামে কিনতে হওয়ায় আবাদে তার খরচ বেশি হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তার জমিতে ভালো ধান হয়েছে। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের কৃষক নাসির উদ্দিন   বলেন, তিনি ৯০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মণ। এতে তাঁর পরিবারের ভাতের জোগান নিয়ে তাঁকে আর ভাবতে হবে না। তিনি আরো বলেন, এ রকম প্রত্যেক কৃষকই ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ , হাজার ৫ শ’৬৫ হেক্টর  জমিতে। আবাদ  হয়েছে ৪ হাজার ৩ শ’ ৯৬ হেক্টর জমিতে এবং হাইব্রিড জাতের ধান। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। এবার  জিকে ক্যানালের পানি না থাকার কারণে লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারেনি আমরা। নতুন জাত বি- ধান ৮৯ এবং বিনা – ২৫ বি, ধান একশো এই গুলো সম্প্রসারণের জন্য আমরা কাজ করছি।