মোশারফ হোসেন ॥ কুমারখালী পৌরসভায় বসবাসকারী বাড়ির মালিকদের পানির বিলের সঙ্গে সাব-মার্সিবল পাম্প ব্যবহার বাবদ ১৫০ টাকা ফি আদায়ে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ। এই বিল প্রত্যাহারের চাই পৌরবাসী। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিধি অনুসারে এ বিল ধার্য করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কুমারখালী পৌরবাসীকে চাহিদা মত সাপ্লাই পানি দিতে পারছে না পৌরসভা। বাসাবাড়িতে ব্যক্তিগত ভাবে নলকূপ স্থাপনের জন্য এককালীন ফি সহ প্রতি মাসে মোটর ও সাপ্লাই পানির জন্য বিল দিতে হচ্ছে পৌরসভাকে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা সাপ্লাইয়ের পানির গ্রাহক রয়েছেন ১ হাজার ৩০ টা অন্যদিকে, চাহিদামতো পানি না পেয়ে ১ হাজার ৬ শত গ্রাহকই বাসাবাড়িতে গভীর নলকূপ (সাবমারসিবল) বসিয়েছেন। এখন সেই সব বাসাবাড়ির ব্যক্তিগত নলকূপের জন্যও এককালীন ১০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।
এছাড়াও প্রতি মাসে ১৫০ টাকা বিল দিতে হচ্ছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকেই। আর সাপ্লাইয়ের পানির জন্য পূর্বনির্ধারিত বিল রয়েছে ১৫০ টাকা। ফলে একজন গ্রাহককে প্রতি মাসে উভয় পানির পেছনেই ৩০০ টাকা খরচ করতে ইচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে স্থাপন করা নলকূপের পানি ব্যবহারের জন্য এই কর প্রদানের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা। এ বিষয়ে কুমারখালী শহরের বাসিন্দা মৃদুল কান্তি দে বলেন, পৌরসভার নাগরিকরা নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করে থাকেন। এ কারণে সেবা প্রদান করবে পৌরসভা। ২০০ বছরের পুরাতন বসতি এলাকায় গেলে দেখতে পাবেন পানি নেই, ড্রেন নেই। ভাঙাচোরা রাস্তায় নাজেহাল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে সাব-মার্সিবল বিল জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। শীঘ্রই পুরাতন পানির লাইন সংস্কারের কথা জানালেন পৌর পানি তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান টুটুল। সহকারী প্রকৌশলী আকরামুজ্জামান বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাহিদা অনুপযোগী সাপ্লাই পানি সরবরাহ করবে পৌর কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি পৌরবাসীর।
