কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঝালমুড়ি দিতে দেরি হওয়ায় এক মুড়ি বিক্রেতাকে রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ৮ টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের গোলাবাড়ি বাজারে এঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম মো. মেহেদী হাসান (৪০)। তিনি পান্টি গোলাবাড়ি বাজার এলাকার মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে।
তার মাথায় পাঁচটি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান (২৮)। তিনি পান্টি ইউনিয়নের ওয়াশী গ্রামের আলম শেখের ছেলে ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঝালমুড়ি বিক্রেতা মেহেদী হাসানের মাথায় সাদা ব্যান্ডস বাঁধা। এসময় তিনি বলেন, ঝালমুড়ি দিতে দেরি হওয়ায় কীটনাশক বিক্রেতা আমিনুর তার ৪ থেকে ৫ জন সমর্থক নিয়ে এসে প্রথমে পানির পাত্র জগ ভাঙে ফেলে। তিনি বাঁধা দিলে তারা রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে তাকে অতর্কিতভাবে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে।
মেহেদীর ভাতিজা আব্দুর রাজাক বলেন, ঝালমুড়ি দিতে দেরি হওয়ায় তার চাচাকে ব্যাপক মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তিনি থানায় মামলা করবেন। অভিযুক্ত আমিনুর ফোনে বলেন, তিনিসহ আরো চারজন মেহেদীর কাছে ঝালমুড়ি চেয়েছিলেন। কিন্তু মেহেদী ঝালমুড়ি না দিলে তিনি একটা জগ ভাঙেন। পরে উৎসুক জনতার সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে মেহেদীর মাথা কে ফাঁটিয়েছে তা তিনি জানেন না। তাঁর ভাষ্য, ঘটনার পর তিনি বাজার থেকে চলে আসলে মেহেদীর লোকজন তাঁর দোকানে তালা লাগিয়েছেন। পান্টি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মো. খসরু আলম বলেন, মারামারির ঘটনা তিনি শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
