কুমারখালীতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেড় বছরের শিশুকে কোপাতে যাওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে শিশুটির পিতা মো: চান্নু মোল্লা। চান্নু মোল্লা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের সাকামুদ্দীন মোল্লার ছেলে। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গাজিপুরে চাকুরী করেন।

কুমারখালীতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ
অভিযোগে বলা হয়, এই মর্মে থানায় হাজির হইয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, মোঃ শান্ত(২৩), পিতাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম (৫২) ও মো রবিউল ইসলাম(৫২), পিতাঃ মোঃ তক্কেল আলী সা.- চর ইতমামপুর, পোস্ট: যদুবয়রা থানা: কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া। আমার শশুরবাড়ি সাং- চর ইতমামপুর, পোঃ যদুবয়রা, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া। ১ নং বিবাদী জামার চাচাতো শালা ও ২ নং বিবাদী আমার চাচা শ্বশুর। আমার শ্বশুর আনুমানিক ৭ বছর সৌদিআরব থাকে। আমার শ্বশুর সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকেই বিবাদীরা বিনা কারণে মাঝে মাঝেই আমার শাশুড়ী ও তার তিনটি কন্যা সন্তানের উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
আমার শ্বাশুড়ির ঘর থেকে মাঝে মাঝেই নগদ টাকা ও জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। গত ১৯/১০/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৯.০০ ঘটিকার সময় নগদ টাকা ও কিছু রুপার গয়না হারানোকে কেন্দ্র করে আমার শাশুড়ি ও বিবাহ উপযুক্ত শালিকে অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে। আমার শ্বাশুড়ী গালীগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা আমার শ্বাশুড়ীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফোলা যখম করে দেয়। আমার শ্বাশুড়িকে বাঁচানোর জন্য আমার শালী মোছাঃ চুমকী খাতুন(১৭) এগিয়ে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে বেধরক ভাবে পিটিয়ে নীলাফোলা যখম করে। খবর শুনে আমার স্ত্রী মোছা: রিংকি খাতুন (২২) ১৯/১০/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক বেলা ১২.০০ ঘটিকার সময় আমার শশুর বাড়ি গেলে ১ নং বিবাদী মোঃ শান্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার স্ত্রী ও আমার স্ত্রীর কোলে থাকা ১ বছর ৬ মাসের শিশু পুত্রকে কোপাতে যায়। আমার স্ত্রী সন্তান সহ দৌড়ে ঘরে গিয়ে নিজেদের রক্ষা করে।
বিবাদী মোঃ শান্ত তখন বলতে থাকে তোর স্বামী চান্নু কে যেখানে পাবো সেখানেই কুপিয়ে মেরে ফেলবো। উক্ত বিষয়টি আলোচনা পর্যালোচনা করে বিবাদীর বিরুদ্ধে আপনার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতেছি।
ভুক্তভোগী চান্নু মোল্লা ও তার স্ত্রী, সন্তান জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানান।
