মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেছেন, ‘এক স্বাধীন রাষ্ট্রগঠনে যতগুলো উপকরণ প্রয়োজন, তার সবকটি কুমারখালীতে আছে। একটি রাষ্ট্রগঠনে প্রয়োজন হয় আন্দোলন সংগ্রামের। এখানে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু, বাঘা যতীন আন্দোলন করেছেন। রাষ্ট্রকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় সংগীতের প্রয়োজন হয়। কুমারখালীর গগণ হরকরা জাতীয় সংগীতের সুর করে সেটিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’ গতকাল বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কুমারখালীর জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রগঠনে গুণী-মনীষীদের পদচারণায় মুখরিত হতে হয়। কুমারখালীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা ফকির লালন সাঁই, এখানে বিচরণ করেছেন। রাষ্ট্রের সকল তথ্য বহির্বিশ্বে পৌছে দেওয়ার জন্যে শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম প্রয়োজন হয়। গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ অত্যন্ত সুচারুভাবে সেই কাজটি করেছেন। কাঙ্গাল সেই কাজটি শুধু এখানেই করেননি, সেই সময়ে পুরো ভারত উপমহাদেশেই করেছে।’ তিনি আরো বলেছেন, অমর কথাসাহিত্য মীর মশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন মনীষী কুমারখালীতে হয় জন্মগ্রহণ করেছেন, নয়লে পদচারণ করেছে। এমন একটি শক্তিশালী কালচারাল রিচ উপজেলায় কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমাকে সহযোগীতা করায় আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আমি আশা করি আপনাদের এই সংস্কৃতি আগামীতেও আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবে। সংস্কৃতির পাশাপাশি এখানকার প্রাণিসম্পদকেও এগিয়ে নিতে হবে।’ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম, মৎস কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কুমারখালীর সহকারী ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এবছর মেলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৩০ খামারি পালিত পশু পাখি প্রদর্শন করেন।
