নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালীতে উপজেলার উত্তর মূলগ্রাম, হিজলাকর, এনায়েতপুর ও গোবিন্দপুর মৌজার বালিমহল থেকে বৈধ ইজারাদার কে হটিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইজারাদার এস, এম রফিকুল ইসলাম। ১৪৩০ বাংলা সালের ইজারাদার এস, এম রফিকুল ইসলাম বহাল থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় মাসুদ রানা ও তার লোকজন ইজারাদার কে উচ্ছেদ করে, বালু উত্তোলনের রশিদ বানিয়ে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে রফিক, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট । সে টাকা পরিশোধ না করার কারণে রফিক কে বালু উত্তোলন করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। তারা মানুষের যাতায়াতের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করে না। এই বিষয়ে এলাকার মানুষ তাদের উপর ক্ষিপ্ত। নিজের টাকা খরচ করে রাস্তা পরিষ্কার করেছি আমি। জানা যায়, এস, এম রফিকুল ইসলাম, পিতা- মোঃ মসলেম উদ্দিন শেখ, সাং- সেরকান্দি, পোষ্ট- কুমারখালী, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া। বালি মহলের বাংলা ১৪৩০ (১ বৈশাখ হইতে ৩০ চৈত্র) বঙ্গাব্দে দরদাতা হিসাবে মনোনীত হয়। জামানত বাবদ (সাত চল্লিশ লক্ষ আটাশি হাজার দুইশত) টাকাসহ পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে (বিরাশি লক্ষ বিশ হাজার) টাকা সর্বমোট (এক কোটি ত্রিশ লক্ষ আট হাজার দুইশত) টাকা পরিশোধ করে। গত ১০- ৪-২৩ ইংরেজি তারিখে স্মারক নং০৫.৪৪.৫০০০.০০৫,৫৫.০০১.২৩-৪২৮ (৪) পত্রের শর্ত মতে (দুই কোটি উনচল্লিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ থাকে। উক্ত টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে জামানতের (সাত চল্লিশ লক্ষ আটাশি হাজার দুইশত) টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা উল্লেখ থাকে। জেলা প্রশাসকের মৌখিখ নির্দেশে উল্লেখিত টাকা জমা দিতে থাকে। এই বিষয়ে আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হইয়া দেনাগ্রন্থ হয় ইজারাদার রফিকুল ইসলাম। এর পর বালু উত্তোলন করতে গেলে স্থানীয় মাসুদ রানা বাধা সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর, বাটা হাম্বাসহ বিভিন্ন বালু গাড়ির মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে আসছে মাসুদ রানা। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোছাঃ নাসরিন বানু জানান, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কুমারখালী উপজেলা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইজারাদার রফিকুল ইসলাম সমস্ত টাকা পরিশোধ করে নাই , সেই কারণে ওখান থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেনা। এখন নতুন করে বাবু মহল ইজারা দেওয়া হবে কেউ এখন বালু উত্তোলন করতে পারবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ভোর রাত থেকে শুরু করে সারাদিন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এখান থেকে। ইজারা ছাড়া বাবু উত্তোলন হচ্ছে এখানে ?। এই বিষয়ে এস, এম, রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বৈধ ইজারাদার গত তিন মাস আগ থেকে মাসুদ আমাকে বালু উত্তোলন করতে দিচ্ছে না। এই ঘটনার পর, আমি জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক জানান, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম সম্পন্ন টাকা পরিশোধ করেনি । টাকা পরিশোধ হলে উপজেলা প্রশাসন সকল ধরনের ব্যবস্থা নিবে।
