কুষ্টিয়ায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়া নজরুল একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া নজরুল একাডেমির সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক আবদুর রশীদ চৌধুরী।

কুষ্টিয়ায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল। এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন ইবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া নজরুল একাডেমি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী। শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ভারত পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, সিন্দুরা একাডেমি অব কালচার, কর্নধার সোনালী গাঙ্গুলী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার কবির বকুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নজরুল একাডেমি সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন নজু।
আলোচনায় বক্তারা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আদর্শ ও কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।
![]()
তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে।
