মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে “ক্লিন কুষ্টিয়া-গ্রীন কুষ্টিয়া” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিরপুর পৌর ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল শনিবার ( ২ নভেম্বর) বিকেলে মিরপুর নতুন বাসষ্ট্যান্ডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফেজ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবু, মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক মুকুল, সাবেক প্রচার সম্পাদক বিল্লাল হোসেন,পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবু, মিরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী,সদস্য সচিব আতাউল হক এমদাদ,যুগ্ম-আহবায়ক মালেকুর রহমান মালেক,মিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম,সদস্য সচিব জাহিদ হাসান,মিরপুর পৌর যুবদলের আহবায়ক সংগ্রাম খান জিল্লু,সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ইফতেখার আলম শিল্পু,
পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনি প্রমুখ। ক্লিন কুষ্টিয়া গ্রীন কুষ্টিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে এসময় মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম আলী বলেন-ক্লিন কুষ্টিয়া গ্রীন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কর্মসূচি, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন,তারা এটা ইউনিয়ন পর্যায়ে বাস্তবায়ন করবেন।মানবিক,ধর্মীয় মূল্যবোধ,নীতি নৈতিকতা, সততা, দেশপ্রেম নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের আশে পাশে পরিষ্কার,নিজেদেরকে পরিষ্কার, নিজের মনকে পরিষ্কার করতে হবে,নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে।বিদ্যালয়ের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হবে।
এলাকার সন্ত্রাস দমন করতে হবে।সবুজ গাছপালা লাগাতে হবে,কুষ্টিয়া জেলাকে সবুজ গাছপালার জেলা বানাতে হবে।এলাকার চাঁদাবাজি দমন করতে হবে,একটি ভালো মানুষ তৈরি হলেই ক্লিন কুষ্টিয়া গ্রীন কুষ্টিয়ার স্বার্থকতা তৈরী হবে।আজকে আপনাদের এখানে ডাকা হয়েছে সচেতনতার জন্য,এটা বাস্তবায়নের জন্য। এটা অবশ্যই আপনারা ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে প্রচার করবেন,বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন।সেই সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিছন্ন করতে হবে।উন্নয়ন করতে হবে।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাদাবাজি হয়,দখলদারিত্ব হয়, সেখানে নিয়োগ বানিজ্যও হয়।এখানে একটি মাদ্রাসা আছে,২০১৪ সালে অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছে,তার পরে ৭টি নিয়োগ হয়েছে,১কোটি টাকার উপরে নিয়োগ বানিজ্য হয়েছে।আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনীরা সেসব টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে।এটাও আমাদের ক্লিন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ বাকশাল যেভাবে দেশ পরিচালনা করেছিলো, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির আন্দোলনের ফলে সেটার অবসান হয়েছে।সরকার পতন হয়েছে,আজকে আমরা স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বক্তব্য দিতে পারছি। সেজন্য সেদিন যারা শাহাদাত বরণ করেছে,তাদের মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক রহমত আলী রব্বানকে যারা মেরে ফেলতে চেয়েছিলো,মিরপুর উপজেলা বিএনপিকে যারা নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিলো,তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই-আওয়ামীলীগের দোসরদের সাথে আপনারা সার কেলেংকারী করে যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন,বিএনপির কিছু দুস্কৃতিকারী চাঁদাবাজি করা সেই সমস্ত লোকদেরকে বলতে চাই-আপনাদের ঘাড় থেকে আওয়ামীলীগদের নামিয়ে দিন,বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না,তাদেরকে আর প্রশ্রয় দিয়েননা,তাহলে কিন্তু দেশের বারোটা আবার বেজে যাবে।
