রঞ্জুউরহমান ॥ কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসন আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজা নেতৃত্বে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক কেন্দ্রীয় শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরবর্তিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার এএইচএম রকিব এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এর কেন্দ্রীয় শহিদ বেদিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন সরকারী এবং বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বর, মজমপুর গেইটে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সর্বশেষে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। পুস্পস্তবক অর্পন শেষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টায় কুষ্টিয়ায় জিলা স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মিক্ষর্থিী বৃন্দ। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুর আড়াই টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও নাম সংবলিত ক্রেস্ট প্রদান করেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।

পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলাধীন শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতীতে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, পুলিশ সুপারর এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এহেতেশা রেজা বলেন, আজ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। এই দিনে আমি প্রথমেই বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে সাথে স্মরণ করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন পতাকা। ২৬ মার্চের এই দিনে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার গৌরব উজ্জ্বল পটভূমি রচিত হয়েছিল। এই দিনে, মৃত্যুর ভয়কে তুচ্ছ করে দেশ মাতৃকার টানে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়াদিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অকুতোভয় বীর বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালে জাতের পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি ছিনে এনেছিল চূড়ান্ত বিজয়। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি সে কাজ শেষ করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সেই স্বপ্নে এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে। উন্নয়নের মহাসড়কে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ। কুষ্টিয়া জেলা এর দৃষ্টান্ত ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের সবাইকে একজোগে কাজ করে যেতে হবে। তবেই আমরা পাবো জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার গর্বিত অংশীদার।
