ইবি প্রতিনিধি ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সহ-সমন্বয়ক। এসময় সুন্দর ক্যাম্পাস গড়তে যেয়েও সবাই ক্ষমতার জন্য মরিয়া বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। সহ-সমন্বয়কের নাম পারভেজ হাসান চয়ন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
পদত্যাগের ঘোষণায় চয়ন বলেন, ২৪শের জুলাই আন্দোলনে সারাদেশের ছাত্রজনতার মত এক ক্ষুদ্র ব্যক্তি হিসাবে ইবির আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আন্দোলনে কতটা অবদান রাখছিলাম জানিনা কিন্তু মন থেকে চেয়েছিলাম মানুষের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে, চেয়েছিলাম জুলুমকারীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। এরই ধারাবাহিকতায় ইবির আন্দোলনে একজন নগণ্য ব্যক্তি হিসাবে অবদান রাখার চেষ্টা করেছিলাম, জানিনা কতটুকু রেখেছি। ৫ আগস্টের পরে একটা সুন্দর বাংলাদেশ ও আমার ক্যাম্পাস দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আন্দোলনকারীদের ক্ষমতার লোভে কিভাবে একটা সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাত থেকে দূরে চলে গেল তা নিজ চোখেই দেখলাম।
সেই সাথে নোংরা রাজনীতিতে কিভাবে সম্ভাবনাময় স্বাধীনতা রক্ষার হাত থেকে দূরে সরে যায় সেটাও দেখলাম। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন এখন তা উপলব্ধি করি। সুন্দর ক্যাম্পাস উপহার দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুঃখের বিষয়, সবাই ক্ষমতার জন্য মরিয়া। বার বার সবার সাথে কথা বলেও পরিবর্তন করতে পারছিলাম না, তখন পদত্যাগ করার চিন্তা করেছি। ভেবেছিলাম অন্য ভাবে চেষ্টা করি কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি।
এত কোরামবাজির মধ্যেও দেড় বছর ধরে সমন্বয়ক পরিষদে থেকে নিজের জায়গা থেকে সত্যকে সত্য বলার চেষ্টা করেছি। কোন পক্ষের হয়ে কাজ করিনি, চেষ্টা করেছি নিজ জায়গা থেকে সত্যের পক্ষে বলার। কখনো কোথাও সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করিনি। সমন্বয়ক পরিচয়ে কোথাও ক্ষমতা দেখায়নি, এই পরিচয়ে কারো সাথে কখনো উচ্চস্বরে কথা বলিনি। তবুও যদি ভুলবশত কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকি, আমার অজান্তে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
