ইমাম সুন্নত নামাজ পড়েনা-বলায় দুই দফা হামলা নারীসহ আহত ৩ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ইমাম সুন্নত নামাজ পড়েনা-বলায় দুই দফা হামলা নারীসহ আহত ৩

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঁদপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম (১৪) সুন্নত নামাজ পড়ে না। সুন্নত নামাজ না পড়েই সে ফরজ নামাজ পড়ায়। এমন কথা বলায় ইমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দুই দফা হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মসজিদ চত্বরে প্রথম দফা হামলায় দুইজন মুসল্লি আহত হন। আর গতকাল শনিবার সকালে দ্বিতীয় হামলায় একজন নারী আহত হয়েছেন।

এছাড়াও তার স্বামীকে মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। মসজিদটি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। আহতরা হলেন – উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদ বিশ্বাসের ছেলে আবু আব্দুল্লাহ (৫৭), ফজলুল হক বিশ্বাসের ছেলে রইচ উদ্দিন (৪৫) ও আব্দুল ওহাবের স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৪০)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত রইচ উদ্দিন ও আবু আব্দুল্লাহ। তাদের মাথায়, মুখে ও হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা।

আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে এক্সেরের প্রতিবেদন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আহত নারী ফরিদা। তিনি ডান হাতে আঘাত প্রাপ্ত। আহত আব্দুল্লাহ ও রইচ উদ্দিন বলেন, তাদের জমির উপর মসজিদটি। মসজিদের ইমাম সুন্নত নামাজ পড়েনা। সুন্নত নামাজ না পড়েই সে ফরজ নামাজ পড়ায়। গত শুক্রবার মাগরিব নামাজের সময় বিষয়টি তারা ইমামকে বললে তর্কবিতর্ক হয়। এরপর এশার নামাজের পর ইমামের স্বজন নুর উদ্দিনের ছেলে আজম ওরফে সাদ্দাম (৩০), সামছুদ্দিনের ছেলে হাসান আলী (৩৫) ও ৫ -৬ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আহত করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্ষ্ঠু বিচারের আশায় তারা থানায় মামলা করবেন।

আহত ফরিদা খাতুন বলেন, মসজিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজম ও হাসান লোকজন নিয়ে এসে সকালে তার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। তার স্বামী ও তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। তিনি এর সঠিক বিচার চান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, মসজিদের ইমাম তার চাচাতো ভাই। সুন্নত নামাজ না পড়ায় ওরা ইমামকে মারধর করে। পরে বিষয়টি জানতে গেলে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়।

তখন কে কাকে মারেছে তা তিনি জানেন না। তার দাবি, রাতের ঘটনায় তার দুইজন লোক আহত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, মূলত নামাজ পড়ানো নিয়ে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। এতে কয়েক জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখন পর্যন্ত কেউই লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।