ইবি প্রতিনিধি ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের অনুষদের বিভাগসমূহের সভাপতি ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ২১২ নং কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সঞ্জয় সরকার, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাদিকুল আজাদ এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো গোলাম মহিউদ্দিন ছাড়াও প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অনুষদের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দরা নিজেদের বিভাগের বিভিন্ন খাতের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
তন্মধ্যে কম্পিউটার ল্যাব না থাকা, ল্যাবে পর্যাপ্ত কম্পিউটার না থাকা, ল্যাব স্থাপনে প্রয়োজনীয় স্থানের স্বল্পতা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক সংকট, সেশন জট, ইন্ডাট্রিয়াল ট্যুরের বাজেট, গবেষণাগারের উন্নয়নসহ ইত্যাদি সমস্যা অন্যতম। এছাড়াও বিভাগের উন্নয়নে প্রতিবছর আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জোর দেওয়ার দাবী জানান। এছাড়াও একটি সেন্ট্রাল একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও সেই মোতাবেক ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের পরামর্শ দেন শিক্ষকেরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে শহীদ সকল ছাত্র-জনতার রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ছয় বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবী দাওয়াসমূহ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দাবীগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এছাড়াও ইবি উপাচার্য বলেন, বিজনেস ফ্যাকাল্টি ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় কল্পনা করা যায় না।
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিজনেস ফ্যাকাল্টির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী ল্যাবের জন্য যদি কোন ফান্ডিং পাই তাহলে ল্যাব স্থাপন করা যাবে। এছাড়াও আপনাদের অ্যালামনাইদের যদি রাজি করানোর চেষ্টা করতে হবে যাতে সমস্যা গুলো তুলে ধরে সমাধান পেতে পারি। আমার মূল লক্ষ্য হচ্ছে এখানের শিক্ষা, শিক্ষণ ও গবেষণার কাজ তরান্বিত করা যাতে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়।
