ইবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ইবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি 

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুলাই ২, ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি ॥ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা পোষণ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক সমিতির ডাকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নীচে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও হলের প্রভোস্টবৃন্দ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অনেক উচ্চপদস্থ সচিব, মঞ্জুরী কমিশনসহ আমাদের দাবির বিষয়ে অনেকেই একাত্মতা পোষণ করেছেন। তদুপরি কে বা কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমাদের বুঝে আসে না। প্রত্যয় স্কিম চালু থাকলে আগামীতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না।

এছাড়া, একটি অশুভ শক্তি সবসময় সরকারের সাথে শিক্ষকদের মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড় করিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের এই দাবী সরকারবিরোধী কোন দাবী নয়, এটা শিক্ষক সমাজের দাবী। এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমরা শুরুতেই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাই নি।

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আগেই এর সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু কোন সুরাহা না পেয়ে আজকের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে গতকাল প্রথম দিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি আমলে নিয়ে খুব দ্রুত এর সমাধান দিবেন। শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে বলেন, আমরা পরবর্তীতে অতিরিক্ত খাটুনি দিয়ে হলেও তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।

তবে আমরা আশাকরি সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধান করবে এবং শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকের এই আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। জাতির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আজ আমাদের এই আন্দোলনে নামতে হয়েছে। এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ যদি আন্দোলনে সাথে থাকে, তাইলে আমাদের এই আন্দোলন নস্যাৎ করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের কোন কুচক্রী মহলের নেই।