ইবি প্রতিনিধি ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে শিল্পোদ্যোগের প্রভাব শীর্ষক ক্ষুদ্র প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ মে) পরমানু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নং কক্ষে বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদোগে প্রশিক্ষণটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড এন্ট্রাপ্রেনরশীপ একাডেমি (আইডিইএ), স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ, ওয়ান বাংলাদেশ। জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ওয়ান বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু হেনা মোস্তফা জামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রধান আলোচক ছিলেন ঝিনাইদহের রায়ান পার্ল হার্বার’র পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন কেরু এন্ড কোং এর ম্যানেজার আব্দুল হালিম সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়াও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আইডিইএ’র হেড অব অপারেশন সিদ্ধার্থ গোস্বামী। এসময় বক্তারা শিল্পোদ্যোগ নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন। একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোগের মাধ্যমে কিভাবে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন বক্তব্যের প্রধান আলোচনায় তা উঠে আসে। ক্ষুদ্র এই প্রশিক্ষণ শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজকের অনুষ্ঠানটা হচ্ছে সৃজনশীল মানুষদের। একসময় কারিগরি শিক্ষার দিকটি উপেক্ষিত ছিল, আমরা শুধু জাতিকে শিক্ষিত করতে চাইতাম কিন্তু এখন পান্ডিত্যের পাশাপাশি কর্মের জায়গার দিকেও নজর রাখতে হবে। আজকের শিক্ষার উদ্দেশ্য চাকরী খোঁজার জায়গা থেকে বেরিয়ে চাকরী দেয়ার জায়গা তৈরি করা। আমরা যদি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির মধ্যে একটি সমন্বিত পরিবেশ তৈরি করতে পারি তাহলেই আমরা আমাদের পান্ডিত্য এবং কারিগরিত্য দুজায়গাতেই ভালো করতে পারব।
