ইবি প্রতিনিধি ॥ ইসলামের বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩৬ জন সাঁতারু অংশ নেন। গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পুকুরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সাঁতার শুরু করে উত্তর প্রান্তের ঘাট স্পর্শ করে আবার ফিরে আসার নিয়ম দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ক্রেস্ট দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। সাঁতারুরা বলেন, ক্যাম্পাসে আসার পর প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন। বঙ্গবন্ধু হলের পুকুরে আগে কখনো এত পানি হয়নি। এবার বৃষ্টিতে এত পানি হওয়ায় উন্মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে সিনিয়র ভাইয়েরা। বিষয়টা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। যাদের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে এই পুকুরে সাঁতার কাটার মজাটা উপভোগ করতাম। গতকাল ক্যাম্পাসেও সবাই একত্রে সাঁতার কাটার মজাটা পেলাম। আয়োজকরা বলেন, সশরীরে ক্লাসর পরীক্ষা বন্ধ থাকায় অনেকটা একঘেয়েমিতা ভর করছিল সবার মাঝে। একঘেয়েমি তো দূর করতেই সুস্থ একটি বিনোদনের আয়োজন।
সাঁতার একদিকে যেমন শরীরের উপকার করে তেমনি সবাই মিলে সাঁতার কাটাও একটা আনন্দদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি করে। আনন্দের আমেজটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই উন্মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন। ৩ রাউন্ড শেষে প্রতি রাউন্ডের বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম হয়েছেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের আরাফাত, দ্বিতীয় হয়েছে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চয়ন, তৃতীয় হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাব্বির হোসেন। বিজয়ী আরাফাত সাঈদ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, এরকম উদ্যোগ সত্যিই আনন্দের। এতে আমাদের শারীরিক কসরত হবে ও চাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে।
ইবির এ পুকুরটি সংস্কার করে এখানে প্রতিনিয়ত এমন আয়োজন হলে ভালো হবে। এতে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাঁতারু হিসেবে পারদর্শী হয়ে উঠবে। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তানভীর মন্ডল বলেন, এই আয়োজনে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরণের আয়োজন করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদেরকে আরও বেশি অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমি আশা রাখবো, ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন ক্যাম্পাসে অব্যাহত থাকবে।
