আশুরা উপলক্ষে ছেঁউড়িয়া জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া মোল্লা পাড়া মসজিদুল মোকারম জামে মসজিদে (২৯ জুলাই) শনিবার বাদ এশা ১০ই মহররম বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আশুরা উপলক্ষে ছেঁউড়িয়া জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল
এ সময় মসজিদুল মোকাররম জামে মসজিদের সভাপতি সমাজসেবক আলতাফ হোসেন মোল্লা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আরো বক্তব্য রাখেন মসজিদুল মোকাররম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু জাফর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মসজিদুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব আব্দুল রহিম, জাতীয় দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক সামরুজ্জামান (সামুন), সমাজ প্রধান আকরাম হোসেন মোল্লা, বাদশা হাসান, ইঞ্জিনিয়ার বাদশা মামুনা রশিদ (মামুন), মোসলেম, আবু হাসান মোল্লা, আলাউদ্দিন, রাজ্জাক মোল্লা, নজরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, সোহাগ, গনজের, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসুল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।
মসজিদের সভাপতি সমাজসেবক আলতাফ হোসেন মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল আজকের দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। ১০ই মহররম হযরত ইমাম হোসেইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ছাড়াও ১০ই মহররম আশুরার দিন মহান আল্লাহতায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আবার এদিন কেয়ামত ঘটাবেন। এর বাইরে এদিন হযরত ইব্রাহিম (আঃ) নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন, হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এ রকম অসংখ্য ঘটনায় তাৎপর্যমন্ডিত এ দিনটি।

মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু জাফর। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আশুরা হলো মুসলমানদের জন্য শোকাবহ দিন। এ দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) দৌহিত্র ইমাম হোসেন ইরাকের কারবালা মরু প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নিমর্মভাবে শহীদ হন। কারবালার প্রান্তরের কাহিনী আমাদের শিক্ষা দেয়, অন্যায় কতটা নিমর্ম হতে পারে। অন্যায়ের কষ্টতা কতটা অন্তবিদ্ধ করতে পারে। কারবালার শিক্ষা টা হচ্ছে অন্যায় থেকে মুক্ত থাকি। সকল নবী-রাসুলেরা এবং আলোর দিশারীরা সত্যের পথে থেকেছেন। তাই আমাদরকে সৎ ও ন্যায় পথে থাকতে হবে। পাপকে ঘৃণা করা, লোভ-লালসা ও মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারো হক মেরে খাওয়া যাবেনা, ঠকানো যাবেনা, সুশিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কর্মকাণ্ড কেউ যেন জরিয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।
সবশেষে সকল মুসলিমদের দীর্ঘায়ু কামনা ও দেশবাসীর ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া ও আলোচনা সভা শেষে সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
