রঞ্জুউর রহমান ॥ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার এবারে প্রতিপাদ্যঃ খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ। গতকাল রবিবার (২ জানুয়ারি) সকাল দশটা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়া এর আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিআই আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়া এর উপপরিচালক (রসায়ন) ও অফিস প্রধান প্রদীপ কুমার মালো, জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলী,পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান,
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কুষ্টিয়া এর উপ-পরিচালক মোঃ আল্-ওয়াজিউর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিসিয়াল মুন্সিখানা, শিক্ষা শাখা, গোপনীয় শাখা, স্থানীয় সরকার এবং প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা) মোঃ মহসীন উদ্দীন, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা (অ.দা) কার্যলয় কুষ্টিয়া সজিব পাল, নমুনা সংগ্রহ সহকারী মোঃ শাহীনুর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কুষ্টিয়া এর প্রাক্কলনিক মোঃ আসিফ হোসেন এবং পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার উপস্থিত বক্তারা বলেন, জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা।
এছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) সর্বসাধারণকে জানানো এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে বিশ্বের কোটি মানুষ যে খাদ্য খায় তা কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন উঠেছে। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কারণে দেশের মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এর অন্যতম কারণ অনিরাপদ খাদ্য। খাবার সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং রান্না ও কাঁচা খাবার একসঙ্গে রাখা যাবে না।
রান্নার সময় ঢেকে রাখতে হবে, খাবার সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং নিরাপদ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং বাজার থেকে মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি কেনার সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। আপনারা যারা এই সেমিনারে আপনারা যারা এসেছেন তারা অত্যন্ত তাদের পরিবারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন তাহলে তাদের মাধ্যম দিয়ে অন্যরা জানতে পারবে। আপনারা আপনাদের শিশুদের বাসায় খাবার তৈরি করে দিবেন, বাইরের খাবার খাওয়াবেন না।
