২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
বিএনপি জনগণের রক্ত ও জীবন নিয়ে রাজনীতি করে : আতাউর রহমান আতা
১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মনোহরদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে৷। ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে কন্দোরপদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল টি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান মাছুম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
বিএনপি জনগণের রক্ত ও জীবন নিয়ে রাজনীতি করে : আতাউর রহমান আতা
মনোহরদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহুরের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রিয়াজ উদ্দিন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব বাদশা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি স্বপন হোসেন।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান আতা বলেন এই বিএনপির চরিত্র এই জিয়াউর রহমানের দলের চরিত্রর কথা যদি ঘন্টার পর ঘন্টার বলি তাহলে বলতে হয় বিএনপি এদেশের মানুষের রক্ত ও দেশের জনগনের জিবন নিয়ে রাজনীতি করে তারা আবার বড় বড় কথা বলে।এই জিয়াউর রহমানের পরিবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে সেই লন্ডনে বসে তারেক জিয়া ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।বিএনপি জামাত এর উদ্দেশ্য আতাউর রহমান আতা আরো আপনারা আজকে ধর্মের কথা বলেন কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের ইসলামের জন্য যা করেছেন আপনারা তার এক ভাগ ও করেন নাই আমি আজকের চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আপনারা বলুন তারা ইসলামের জন্য কোন কাজটি করেছে।
আজকে সেই পাকিস্তান আফসোস করে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল আর আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে ,আজকে ঢাকায় আকাশ দিয়ে ট্রেন চলে সেই পাকিস্তান আজকে মেট্রোরেল পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখতে পারে না। আজকে বিএনপির বন্ধুতের বলতে চাই মানুষের রক্ত নিয়ে আর খেলা কইরেন না। এদেশের মাটি মানুষের রক্ত অনেক নিয়েছেন।বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচয় করে দেয়া সেই মহানায়ক জাতির পিতা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কেউ আপনারা হত্যা করতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির সেই খাম্বা তারিক এখনো লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
আজকে বর্তমান সরকার কৃষি খাতকে আরো এগিয়ে নিতে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি কৃষকের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে আজকে বয়স্কদের বয়স্ক ভাতা দেয়া হচ্ছে বিধবাদের বিধবা ভাতা দেয়া হচ্ছে, আজকে সকল মানুষ কে পেনশনের আওতায় এনেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই আজকে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা অশান্তির জনপদ না শান্তির জনপদ চান, যদি শান্তির জনপদ চান শুধু উন্নয়নের বাংলাদেশ চান তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।আপনারা জানেন এর আগে বিএনপি বলেছিল কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া থেকে জামদামি সড়কটি তারা করবে কিন্তু সে গুড়ে বালি আজকে সড়কের কাজ জননেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ ভাইয়ের হাত ধরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্য জহিরুল ইসলাম জহুর বলেন ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার সপরিবার কে হত্যা করা হয়েছিলো, শুধু বেঁচে ছিলেন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা। পরিবারহারা দোনো একটি শেখ হাসিনা তারপর থেকেই জীবন বাজি রেখে নিশির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আজকে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় নিজেদের নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা মতপার্থক্য থাকতে পারে তবে আজকে বলতে চাই সেই বিএনপি-জামাত কে প্রতিহত করতে আমরা সবাই এক এবং ঐক্যবদ্ধ। আপনারা জানেন সারা বাংলাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন সাধিত করেছেন জননেতা মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি মহোদয় তাই আপনাদের বলব আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কা ভোট দিন
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৯৭৫ সালে নিহত সকল শহীদদের ও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয় এবং দোয়া শেষে উপস্থিত নেতা কর্মীদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
