ইবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক ইডেন ছাত্রী - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ইবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক ইডেন ছাত্রী

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মার্চ ৬, ২০২৩
ইবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক ইডেন ছাত্রী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক প্রেমিক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা। সোমবার (০৬ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মফিজ লেক এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

ইবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক ইডেন ছাত্রী

ইবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক ইডেন ছাত্রী

ইবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক ইডেন ছাত্রী

জানা যায়, আটক হওয়া প্রেমিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। প্রেমিকা ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রেম হয়। পরে প্রেমিকের ডাকে গত ৪ মার্চ ক্যাম্পাসে আসে ওই ছাত্রী । ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রের এক বান্ধবীর কাছে হলে থাকছিল সে। দুই দিন হলে থাকার পর আজ তার প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয় সে। পরে বিয়ের বিষয়ে তাদের বলা হলে মেয়ে রাজি হয়নি। আটক হওয়া ছেলের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের সুজলপুর ও মেয়ের বাড়ি খুলনা জেলার পাইকগাছার আলমতলা গ্রামে।

সূত্র জানায়, প্রেমিকের বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইডেন কলেজের ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা করে। পরে ফেসবুকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকের বন্ধুর বাড়ি প্রেমিকার এলাকায় বলে জানা গেছে। ওই প্রেমিকা সম্প্রতি ইডেন কলেজ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় গুচ্ছে ভর্তি সংক্রান্ত কাজে। পরে প্রেমিকের আহ্বানে গত ৪ মার্চ ইবি ক্যাম্পাসে আসে প্রেমিকা। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিভাগের এক ছোটবোনের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) কাছে রাখে প্রেমিক। প্রতিদিন ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় তাকে হলে দিয়ে আসেন প্রেমিক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের ব্রিজের কাছে একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন ওই প্রেমিক যুগল। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখে আওয়াজ তুললেও তারা একই অবস্থায় সেখানে অবস্থান করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সংবাদ দেন তারা। তাৎক্ষণিক তিনি সেখানে এসে একই অবস্থা দেখতে পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে অবহিত করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা ড. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং তাদেরকে প্রক্টর অফিসে ডেকে পাঠান। পরে সেখানে প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। একপর্যায়ে অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তাদের থেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে মেয়েকে অভিভাবকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও প্রেমিকের বিভাগের শিক্ষক শাহেদ আহমেদ, শাহবুব আলম, জয়শ্রী সেন ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেলিম উদ্দীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তার ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। পরে মেয়েকে তার অবিভাবকের সাথে কথা বলে তাদের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ছেলেকে তার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে প্রেমিকের বিভাগের শিক্ষক ও বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে থাকা শাহেদ আহমেদ বলেন, বিভাগের জিম্মায় কাউকে দেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ছেলে-মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ছেলে সহ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো হবে।

ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, মেয়ের বাবাকে ফোন দেয়া হয়েছে। তার বাবা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এসে মেয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাদের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করবেন কিনা সেটা তাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত। এখন মেয়ে আমাদের হেফাজতে আছে।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় লেক এলাকা সংলগ্ন পাটক্ষেত থেকে আপত্তিকর অবস্থায় এক প্রেমিক যুগলকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক যুগলকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা।

আরও পড়ুন: