বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, কুষ্টিয়া শহরের ০৭ নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী ও জেলা বিএনপি সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার এর নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কিত জনসভার আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ০৪টার দিকে কালিশংকরপুর বটতলা মোড়ে ০৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর বিএনপির সভাপতি এ কে বিশ্বাস বাবু। বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন, জেলা বিএনপি সদস্য আব্দুল মঈদ বাবুল, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শওকত হাসান বুলবুল ও সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ০৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মঈনুল ইসলাম বাবু, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক লেবু। উপস্থাপনা করেন পৌর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল রশিদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, বিগত ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের একটা সফল গনঅভ্যুত্থান। এরই ধারাবাহিকতায় এদেশে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার আগামী ২০২৬ সালে একটি নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে এই নির্বাচনী রোড ম্যাপ অনুসারে এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলও ৩শো আসনের মধ্যে ২৩৭ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এ দেশের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার নায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেই খান্ত থাকেননি, উনি অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশের মানুষকে সাথে করে দেশকে পাকিস্তান হানাদার মুক্ত করেছিলেন। এ দেশে একটি দল আছে, সেই দল সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছিলো। তারা ৩০ লাখ শহিদকে হত্যায় সহযোগিতা করেছিলো। মা বোনদের নির্যাতন করেছিলো। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে তারা আজকে এদেশের মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করছে।
যারা এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিলো, আজকে গনভোট হওয়া উচিৎ, তারা এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে” নাকি পারবে না” হা” না” ভোট এই জন্য হওয়া উচিৎ। এ দেশের মানুষ সবই বোঝে, তাই আমরা মনে করি ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে এ দেশের মানুষ রায় দিবে কারা এদেশে রাজনীতি করবে” কি করবে না”। এ দেশ জনগণের, যারা এই দেশকে সৃষ্টি হতে বাধা দিয়েছিলো, বাংলাদেশের মানুষ ত্রয়োদশ নির্বাচনে তাদেরকে “না” বলে এই দেশ থেকে বিতারিত করবে। এ দেশ গড়ার পিছনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভূমিকা আছে। তাই আপনারা আমাদের উপর আস্থা রাখুন, বিশ্বাস রেখে আগামী নির্বাচনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষে ভোট দিন। দেশের উন্নয়নের জন্য ধানের শীষের বিকল্প নেই।
