গড়াই নদীপাড়ের অবৈধ স্থাপনাদি গুড়িয়ে দিলেন উপজেলা প্রসাশন

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে গড়াই নদীপাড়ের প্রায় ৯ বিঘা (৩ একর) জায়গার অবৈধ স্থাপনাদি ঘর, দোকানপাট, বাঁশের ঘেরা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে কয়া ইউনিয়নের কয়া ইকোপার্ক এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।

গড়াই নদীপাড়ের অবৈধ স্থাপনাদি গুড়িয়ে দিলেন উপজেলা প্রসাশন

গড়াই নদীপাড়ের অবৈধ স্থাপনাদি গুড়িয়ে দিলেন উপজেলা প্রসাশন
গড়াই নদীপাড়ের অবৈধ স্থাপনাদি গুড়িয়ে দিলেন উপজেলা প্রসাশন

এসময় কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, কয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন, থানার পুলিশ, সার্ভেয়ার রেজাসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে স্থানীয় রাজা নামে একজন প্রত্যেককের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। বিনিময়ে ইকোপার্ক সংলগ্ন গড়াই নদীপাড়ের প্রায় ১০ থেকে ১২ জনকে বসতঘর ও ৮ থেকে ১০ জনকে দোকানঘর করার জন্য অবৈধভাবে জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়াও কয়েকজন সেখানে গোবাদি পশুর জন্য ঘাঁস চাষ করছেন রাজার কাছ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে। খবর পেয়ে দুপুর একটার দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাজিদা খাতুন বলেন, তার বাড়িতে গরুর খামার আছে। তিনি রাজার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে খণ্ড নদীর জমি বরাদ্দ নিয়েছেন। সেখানে তিনি ঘাষ চাষ করছেন।

কয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, তাঁর অগোচরে কে বা কাহারা নদীর জমি দখল করে ঘরবাড়ি, দোকানপাট করেছেন। তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গড়াই নদীর জায়গা রক্ষায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ১০ -১২ টি বসতঘর ও ৮ -১০ টি দোকানপাট ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে আর কেউ যেন কোনো স্থাপনাদি না তৈরি করে, সেজন্য কঠোর সতর্ক করা হয়েছে। তাঁর ভাষ্য, কেউ অর্থ লেনদেন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন:

Leave a Comment