অনাবৃষ্টিতে খোকসায় পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

অনাবৃষ্টিতে খোকসায় পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুলাই ১৫, ২০২৪

পুলক সরকার, খোকসা ॥ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন পাটচাষিরা। তারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে শুকিয়ে গেছে পাটের কাণ্ড, লাল হয়ে গেছে পাতা। লম্বা হয়নি গাছও।

আর জাগ দেওয়ার জন্য পানি না থাকায় বেড়েছে দুশ্চিন্তা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪ হাজার ৩শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে কিন্তু চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে।

উপজেলায় পাটের আবাদ আশানুরূপ হলেও বিরূপ আবহাওয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাষিদের। দেশের অনেক জেলায় যখন বৃষ্টি আর বন্যাতে ভাসছে তখন এই উপজেলার খাল বিলেও নেই পর্যাপ্ত পানি। ফলে একদিকে যেমন পানি সংকটে সোনালি এই আঁশ জাগ দেওয়া, অন্যদিকে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাটচাষিরা।

পাটচাষিরা বলছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে এবার লাভ তো দূরের কথা উঠবে না সার, বীজ আর কীটনাশক বাবদ খরচ হওয়া টাকা। উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ক্ষিরোদ জানান, ‘খরায় পাট বড় হয়নি। এক কথায় ফলন হয়নি।

বিঘা প্রতি দুই আড়াই মণ পাট হবে। তাতে খরচ উঠবে না।’ অপর চাষি ইব্রাহীম বলেন, ‘সেচ ব্যবস্থা না থাকা এবং ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট ভালো হয়নি। আশোকেশ জানান, ‘অতিরিক্ত খরার কারণে পাটের কাণ্ড শুকিয়ে গেছে, পাতা লাল হয়ে গেছে আর পাট গাছ লম্বা হয়নি। এছাড়াও জাগ দেওয়ার জন্য পানি না থাকায় দুশ্চিন্তা আছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা জানান, ‘অনাবৃষ্টির কারণে লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও চাষিদের খুব বড় সমস্যায় পড়তে হবে না।