কুমারখালীর সেই ধ্বংস্তূপ পরিবারের ৪০০ জনের মাঝে ইফতার-খাবার প্রদান। একটি হত্যাকান্ডের জেরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার ধ্বংস্তূপে পরিনিত হয়েছে। সবকিছু হারিয়ে তাঁরা খোলা আকাশের নিচে আত্মমানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
কুমারখালীর সেই ধ্বংস্তূপ পরিবারের ৪০০ জনের মাঝে ইফতার-খাবার প্রদান

সেই মানবেতর জীবন কাটানো শতাধিক পরিবারের প্রায় চার শতাধিক নারী – পুরুষ ও শিশুদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার ( ১৫ এপ্রিল) কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ইতালী নামের সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

জানা যায়, সুদে টাকার জেরে গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মো. সজিব বিশ্বাস ওরফে সবুজের (৩৫) সাথে সাবেক মেম্বর জাবেদ আলী বিশ্বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে সাবেক মেম্বরের ভাতিজা পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক নিহত হন। এঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের বড় ভাই মো. আক্কাস আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বর্তমান মেম্বরকে প্রধান আসামী করে ২১ জনকে আসামী করা হয়।
আরো জানা গেছে, হামলা, মামলা, গ্রেফতার ও প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান আসামীপক্ষের প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন। সেই সুযোগে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বর মো. আবুল কাশেম ও বাদীপক্ষের সমর্থকরা আসামীপক্ষের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাঁরা মাঠের ফসলও কেটে নিয়ে যায়। পরে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আসামীপক্ষের লোকজন থানায় ৪ টি এবং আদালতে একটিসহ মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করেন। তবুও পুলিশের পাহাড়ায় দিন রাত বেঁধে চলে ভাংচুর – লুটপাট। এভাবে প্রায় এক মাস পরে গ্রামে ফিরে তাঁরা মানবেতর জীবন জাপন করছেন।
এবিষয়ে ওই গ্রামের মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় তাঁরা সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব। খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা। কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ইতালী তাঁদের একদিনের ইফতার ও খাবার দিয়েছেন। তাঁরা খুব খুশি।
আয়োজকরা জানান, ওই গ্রামের ৪০০ জন নারী, পুরুষ ও শিশুদের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও একবেলার খাবার প্রদান করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, গ্রামের আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে তাঁদের।