Site icon কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীতে অভিভাবকের হাতে প্রধান শিক্ষিকা লাঞ্ছিত

পরীক্ষার হলে মেয়েকে মনমত শিক্ষার্থীর কাছে বসতে না দেওয়ায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিট ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১৭ নং হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে এঘটনা ঘটে।

কুমারখালীতে অভিভাবকের হাতে প্রধান শিক্ষিকা লাঞ্ছিত

কুমারখালীতে অভিভাবকের হাতে প্রধান শিক্ষিকা লাঞ্ছিত

ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে শেষ বিকেলে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই প্রধান শিক্ষক রওজাতুজ্জাহান শুভ্রা। রাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে কানাঘুষা শুরু হয়। অভিযুক্ত অভিভাবক মোছা. রূপালী খাতুন একই ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও চাপাইগাছি গ্রামের শহিদুল আলম সেলিমের স্ত্রী।

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ১৭নং হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত রূপালী খাতুনের মেয়ে শেফা খাতুন ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা ১৫ মিনিটের দিকে ২য় শিফটের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছিল। এসময় রূপালী খাতুন তাঁর মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এসে বেঞ্চ থেকে একজন ছাত্রীকে তুলে দিয়ে মেয়েকে তাঁর মনমত ছাত্রীর কাছে বসানোর চেষ্টা করেন। এনিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে ওই অভিভাবকের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে কিল, ঘুষি, থাপ্পর লাথি মারে এবং পরীক্ষা কাজে বাধা সৃষ্টি করে চলে যান।

আরো জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের নিকটতম আত্মীয়। সেজন্য বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত) রওজাতুজ্জাহান শুভ্রা বলেন, ওই অভিভাবক তাঁর আত্মীয় হন। তিনি ( অভিভাবক) তাঁর মেয়েকে শিক্ষার্থীর কাছে বসাতে চেয়েছিলেন। এনিয়ে তাঁদের বাগবিতণ্ডা হয়। কিন্তু এভাবে তাকে ওই অভিভাবক মারপিট ও লাঞ্চিত করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। বিচার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

এবিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক অভিভাবক মোছা. রূপালী খাতুন। তবে তাঁর স্বামী শহিদুল আলম সেলিম বলেন, ঘটনা যাইহোক তিনি এনিয়ে কোনো কথা বলতে চাননা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর মামা হন। আর প্রধান শিক্ষকও তাঁর আত্মীয়। তিনি (চেয়ারম্যান) ঢাকা থেকে এসে সমস্যার সমাধান করবেন।

ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাপস কুমার পাল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি।

আরও পড়ুন:

Exit mobile version