এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য যতটুকু সম্ভব খাদ্য উৎপাদনে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারি ধারাবাহিকতায় কুমারখালী উপজেলা প্রসাশন সরকারি অফিসের আঙিনায় ও পরিত্যক্ত জমিতে পুষ্টি বাগান গড়ে তুলছে।
কুমারখালীতে সরকারি অফিসের আঙিনায় পুষ্টি বাগান: মিটছে পুষ্টির চাহিদা

এই সব বাগান থেকে যেমন মিটছে পুষ্টির চাহিদা সেই সঙ্গে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে।বাগান থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগো রয়েছে। কুমারখালীতে দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যা। উপজেলাতে প্রতিটি ইউনিয়নে একশো টি করে পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস । এরই মধ্যে উপজেলায় ৭ শ’ ৫ টি পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল উপজেলার মধ্যে পুষ্টি বাগান পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি যেন না থাকে। সেই উদ্দেশে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সব সেক্টর কে সঙ্গে নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি । তারি অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন এরি মধ্যে উপজেলার মধ্যে ৭ থেকে ৮ টি পুষ্টি বাগান করা হয়েছে । সেটা ইউএনওর বাংলো, কৃষি অফিসের আঙিনায়, সমাজ সেবা অফিসের আঙিনায় বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল চাষ আমরা করেছি। এতে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেরিনা আক্তার মিনা, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস সহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস জানান, আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একটি প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১ শ’টি করে পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হবে। এরি মধ্যে আমরা গত বছর ৩ শ’ ৭৫ টি পুষ্টি বাগান স্থাপন করেছি। উপজেলাতে মোট ৭ শ’ ৫ টি পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে।
এই পর্যায়ে উপজেলা নিবার্হি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে এক ইঞ্চি জমি যেন ফাঁকা না থাকে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে সরকারি অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। সেই জায়গাতে পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হবে। এবং বাড়ির আঙিনায় দেড় শতক জায়গায় রয়েছে এমন প্রান্তিক কৃষককে প্রকল্পের আওতায় এনে এ বাগান স্থাপন করা হবে।