কুষ্টিয়া সদরের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণুর তিন কর্মিকে মারধরের অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়া সদরের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণুর তিন কর্মিকে মারধরের অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাস ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহদেী হাসানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

কুষ্টিয়া সদরের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণুর তিন কর্মিকে মারধরের অভিযোগ

কুষ্টিয়া সদরের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণুর তিন কর্মিকে মারধরের অভিযোগ

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া বাজার থেকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর সমর্থক সাগরকে মারধর করে। এছাড়াও আরো দুই জনকে মারধর করা নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈগলের সমর্থক বুলবুল একটি ইজিবাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে যান। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি মেহেদী হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামানসহ ১০-১২ জন নৌকার ক্যাডার তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান।

আহত সাগর জানান, আমি হাতিয়া বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম এমন সময় একটি মাইক্রবাসে করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুক উজ জামান আসেন। এছাড়াও ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আমাকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলা। পরে তারা বদ্দিনাথপুর শ্মশানের পাশে নিয়ে গিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদী ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত মারধর করে ফেলে রেখে যায়। আমি কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর ঈগল প্রতীকের সমর্থক। ঈগলের আরেক কর্মী রাশেদ বলেন, ‘ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো ভাবটা এমন যে আমাদেরই ধরে নিয়ে যাবে।’

জানতে চাইলে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস বলেন, এসব সাজানো ব্যাপর। আমরা এসব করে বেড়াবো কেনো। আমাদের লোকজন নাই, ওকে মারার দরকার হলে হুকুম দিলেই তো মার হয়ে যায়। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহদেী হাসান বলেন, আমি এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সকাল ৭টা থেকে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা মারামারি করবো এই সময়টা কখন আমাদের। মারামারি করতে হলে কি আমাদের লোকজন নেই, তারা করতে পারে না। ও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে। বাচ্চা ছেলে মানুষ কখন কি বলছে ব্যালেন্স নাই। তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকউজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা কোনো প্রকার নির্বাচনী আচরণবিধি মানছে না। উল্টো আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে এবং আমাদের কর্মীর ওপর হামলা করছে। লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা এসব অনিয়মের প্রতিকার চাই।’

এই বিষয়ে ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এস আই কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি সাহেবকে ফোন দেন উনি সুন্দর ভাবে বলতে পারবে। জানতে চাইলে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর রহমান বলেন, আমরা একটা ভিডিও সাক্ষাৎকার পেয়েছি। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।