কুষ্টিয়া কুমারখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদ করায়। ১৯৭৫ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদ হোসেন জাফর এর গ্রেফতার ও অমানুষিক নির্যাতন স্বরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী মুক্তিযোদ্ধাকালীন কমান্ডার কে নির্যাতন স্বরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
(২৭ সেপ্টেম্বর) বুধবার বিকেলে পান্টি বাজার পপি মার্কেটের উপরে আলোচনায় সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা চাষী আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগার আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আমিনুল হক রতন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ড.জাভীদ ইকবাল বাঙালি, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আশাদুর রহমান আশা, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল জামান তুষার , ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া খান জেম, আলোচনা সভায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পর আমি প্রতিবাদ করায়। আমাকে গ্রেফতার করা হয় এবং অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এই দেশে প্রায় ৩৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধার উপর নির্যাতন করা হয় এবং হাজার হাজার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের নির্যাতন করে জেলে পাঠানো হয়। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এক মাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া সম্ভব না। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সন্মান জনক স্থান দিয়েছে। সবাই কে এই সরকারকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর পর আমাদের নেতাকর্মীদের গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হতো। আগামীতেও নির্যাতন কে বরণ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের এই অঞ্চলের আওয়ামীলীগ নেতা আজিজ খান ও জাহিদ হোসেন জাফর এর মতো নেতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রতিবাদ করেছিল। সেই কারণে তাদের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে । স্বরণ করতে পেরে আমরা গর্বিত।
এই সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান বলেন, আগামী দ্বাদশ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কারও কথায় না। মুক্তিযুদ্ধের কমান্ড জাহিদ হোসেন জাফর এর অবদান অস্বীকার না করা যায়না। যারা সিনিয়ার নেতৃবৃন্দের অসম্মান করে আল্লাহ পাক তাদের সন্মান দেয় না। আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সময় কি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ২১ বছর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানায়, সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় আনতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবিতে সেই সময় নেতাকর্মীদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। সেই সব নেতাদের স্মরণে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে পেরে ভালো লাগছে।
তিনি আরো বলেন,হতবাক করার মতো ব্যাপার হলো, ’৭৬ সাল থেকেই ইতিহাসের প্রেক্ষাপট বদলে যেতে থাকে পত্রিকার পাতায়। তাতে বঙ্গবন্ধুর নাম বলা হতো না।এসময় তিনি আরো বলেন , মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ন্যূনতম সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন-পুনর্বাসন সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু যে মুহূর্তে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী ভিত রচনা ও এর সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করলেন, ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশী চক্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে সংঘটিত হয় বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক, ১৫ই আগস্টের ট্র্যাজেডি।