ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত পরে দুঃখ প্রকাশ ছাত্রলীগের,ইসলামী- বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত পরে দুঃখ প্রকাশ -ছাত্রলীগের,কুষ্টিয়ার ইসলামী- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।আজ সোমবার সকালের দিকে ছাত্রলীগের নেতারা ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত পরে দুঃখ প্রকাশ ছাত্রলীগের
এমদাদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পরীক্ষার বিভিন্ন কমিটিতে কাজ করার জন্য উপাচার্য কিছু কর্মকর্তার নাম চেয়েছেন। কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।তিরি আরও বলেন, গতকাল বিকেল চারটার দিকে তিনিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বাড়ি ফেরার জন্য ক্যাম্পাসের ভেতরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদের বাবা তোবারক হোসেনও ছিলেন।
তোবারক হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার। সেখানে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ কয়েকজন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসে তাঁকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন।ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন বলেন, নাসিম সেখানে পৌঁছে এমদাদুলকে জিজ্ঞেস করেন, তাঁর বাবার নাম (তোবারক) কমিটির তালিকায় কেন রাখা হয়নি? এ সময় তিনি (এমদাদুল) বলেন, কেন কৈফিয়ত চাইছেন? তখন নাসিম বলেন, আপনারা ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা
বলছেন না, কথা শুনছেন না। তখন এমদাদুল বলেন, এটা প্রশাসনের বিষয়। কর্মকর্তাদের বিষয়। এখানে ছাত্রলীগের কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। এ সময় নাসিম বলেন, ছাত্রলীগের সব কথা শুনতে হবে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে নাসিমের সঙ্গে থাকা কয়েকজন ছেলে এমদাদুলের দিকে তেড়ে আসে। উচ্চ স্বরে কথা বলে। পরে সেখানে থাকা অন্য কর্মকর্তারা জড়ো হয়ে যায়। তখন নাসিমসহ সবাই চলে যায়।এমদাদুল আলম বলেন, এ ঘটনার

পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে ক্যাম্পাসে কর্মকর্তা সমিতি জরুরি বৈঠকে বসেন। তাঁরা কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার উদ্যোগ নেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ফোন করে তাঁর কক্ষে আসেন। এ সময় নাসিম আহমেদও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা দুজনই গতকাল বিকেলের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। এ ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেছে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ
সম্পাদক নাসিম আহমেদ বলেন, ‘সামান্য একটা ইস্যু নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি তাঁকে (এমদাদুল) কাকু বলে ডাকি। আমাদের একই গ্রামে বাড়ি। সকালে কাকুর কাছে গিয়ে চা খেয়ে এসেছি। কোনো সমস্যা নেই।’
আরও পড়ুন: